ছিনতাইয়ে সহযোগিতার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরেক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত আল আমিন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সে নওগাঁর মহাদেবপুর থানার কালনা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি বৈঠকের সুপারিশক্রমে তাকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে ছিনতাই ও অস্ত্র নিয়ে মহড়ার অভিযোগে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের কর্মী বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই (সোমবার) রাতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় কাব্য ও আল-আমিন। ড্রাইভার কে ছুরি দেখিয়ে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ড্রাইভার ও তার সহকারীকে মারধর করে মানিব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নেন তারা। এছাড়া গাড়ির কাভারের তালা খুলে দুটি তেলের কন্টেইনারও বের করেন। পরে লোকজন জড়ো হলে তেল রেখে টাকা ও ট্রাকের চাবি নিয়ে সেখান থেকে চলে যান তারা।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শামসুল আলমকে। এছাড়া একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবর্দী খানকে সদস্য সচিব ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামানকে কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।